নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আজ (১২জুন) সমাপ্ত হলো ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃক আয়োজিত ২ (দুই) দিনব্যাপী (১১-১২ জুন) এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, কুইজ, বিজ্ঞান নাটিকা এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে ৭ শতাধিক প্রতিযোগী গত ২ দিন ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী, তরুণ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, শিক্ষক ও অভিভাবক মিলে প্রায় সহস্রাধিক অতিথির পদচারণায় মুখরিত ছিলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবন।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর সবার জন্য আয়োজন করে নিরাপদ আবাসন ও স্বাস্থ্য সম্মত আপ্যায়ন। আজ (১২ জুন) সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, বুয়েটের সাবেক উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার সংস্থা প্রধানগণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুর রাজ্জাক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন “আজকের তরুণ সমাজের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক অপার সম্ভাবনা। আমাদের ছেলে মেয়েরা মেধা ও দক্ষতায় অন্য জাতির চেয়ে কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে বিজ্ঞান চিন্তায় উজ্জীবিত এই প্রজন্ম দেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এর মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই তরুণ প্রজন্মই অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী চিন্তা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার মাধ্যমেই দেশ পৌঁছে যাবে উন্নতির শীখরে”।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিজ্ঞান জাদুঘর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ১৯৭৮ সাল থেকে দেশব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্যাপন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান চর্চায় নিজেদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে”। অনুষ্ঠানে মোট ৪৬ জন বিজয়ী প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রাইজবন্ড এবং নগদ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়।
এ বিজ্ঞান মেলা মূলত: তরুণ ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মেধা, জ্ঞান ও প্রতিভার এক অনন্য প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়, যা’ বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।